ঢাকা , সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫ , ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​বরুড়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের নবীনবরণ ও প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন


আপডেট সময় : ২০২৫-০৩-২৩ ০১:১৪:৪২
​বরুড়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের নবীনবরণ ও প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন ​বরুড়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের নবীনবরণ ও প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন


কুবি প্রতিনিধি,
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) অধ্যয়নরত বরুড়া উপজেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘বরুড়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন’র নবীনবরণ ও প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠান উপলক্ষে এক ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

শনিবার (২২মার্চ) বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বার্ড) ময়নামতি অডিটোরিয়ামে মুনতাসিম বিল্লাহ পাটোয়ারী রিফাতের সভাপতিত্বে এবং রবিউল হোসেনের সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা দক্ষিণের বিএনপির আহবায়ক ও কুমিল্লা -০৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাকারিয়া তাহের (সুমন)। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ডা. মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ শাহনুর আলম, ডা. শামীম আল আজিজ লালিন, পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কুলসুম আক্তার শম্পা এবং প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন কুবি শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব মোস্তাফিজুর রহমান শুভ।

অনুষ্ঠানটি দুপুর দুইটায় শুরু করা হয় এবং ইফতারের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয় এবং বিদায়ী শিক্ষার্থীদের ক্রেস্টের মাধ্যমে বিদায় জানানো হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জাকারিয়া তাহের সুমন বলেন, 'ভালো লাগে যখন শিক্ষার্থীরা সামনে বসে থাকে।বিশ্ববিদ্যালয় সব সময় নিজের পছন্দের বিষয় নিয়ে পড়া যায় না। কিন্তু আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ি। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে না পড়লে চাকরি হবে না, আমরা এটা ভাবি। আমি যখন দেখে মেয়েরা সবকিছুতে এগিয়ে আছে তখন গর্বে বুক ভরে ওঠে। একটা শিক্ষিত মেয়ে পারে একটা শিক্ষিত জাতি তৈরি করতে। তাই আমরা চাই যে আমাদের মা-বোনরা শিক্ষিত হোক। আমাদের জাতিকে এবং দেশকে এগিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাক। ১৯৭১ সালের আগে আমাদের বাইরে পড়ালেখার কোনো সুযোগ ছিল না। বাহিরে পড়ালেখা সুযোগটা হয়েছে ১৯৭৮-৭৯ সালের দিকে যার কৃতিত্ব শহীদ জিয়াউর রহমানের।'

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ডা. মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, 'আজকে প্রোগ্রামের যে গঠন নবীন বরণ ও প্রবীণ বিদায়। আসলে আমরা যারা বিদায় নিচ্ছি। কি নিয়ে বিদায় নিচ্ছি? আমাদের উদ্দেশ্য কি?  আমাদের শিক্ষার কিছু উদ্দেশ্য থাকে। প্রথমত আমরা একটা সার্টিফিকেট অর্জন করবো। সেই অনুযায়ী চাকরি করবো। কিন্তু এই চাকরিটা দিবে কে? আমার যে এই সংগঠন করি। তাদের একটা প্রজেক্ট গড়ে তুলতে হবে। যাতে আমাদের সংগঠনের লোকজন কিভাবে কাজে লাগতে পারে। আমি অনেক দূরের স্বপ্নের কথা বলেছি।  আসলে আমাদের স্বপ্ন নিয়ে বাঁচতে হবে।'

অনুষ্ঠানের আরেক বিশেষ অতিথি মোহাম্মদ শাহনুর আলম বলেন, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই সংগঠনের কার্যক্রম শুরু হয়, তখন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। ধীরে ধীরে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে স্বাধীনভাবে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অন্যদের তুলনায় ভালো করছে। আজকের আয়োজনটি সেটির একটা বহিঃপ্রকাশ। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে এসে একটা আন্তর্জাতিক মানের ট্রেনিং সেন্টারে আয়োজন করেছে যেটি আমার খুব ভালো লাগছে। আমি আরো বেশি খুশি হব এই অডিটোরিয়াম আগামীতে কানায় কানায় পূর্ণ থাকবে। সমাজিক সংগঠন সবাই করে না আমরা করি, তোমরা করছ এটা আসলে একটা দক্ষতা, এটা সবার থাকে না।'

অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা মুস্তাফিজুর রহমান শুভ বলেন, ' কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হবার কথা সেই স্বাধীনতার পর থেকে  কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করা হয়। ২০০৬ সালে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ার পিছনে  যাদের ভূমিকা ছিল তাদের মধ্যে জাকারিয়া তাহের সুমন ভাই অন্যতম। কিন্তু আমরা যে এই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচয় দিচ্ছি এ বিশ্ববিদ্যালয় কে নিয়ে অনেক সময় অনেক ধরনের ষড়যন্ত্র হয় এবং সবশেষ বিশ্ববিদ্যালয়কে দ্বিখণ্ডিত করার হয়েছে। শুধুমাত্র এর উন্নয়নমূলক কার্যক্রমকে বাধা দেওয়ার জন্য।'


অনুষ্ঠানের সভাপতি মোতাছিম বিল্লাহ পাটোয়ারী রিফাত বলেন, 'বরুড়া ছাত্র-ছাত্রী পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত "নবীন বরণ ও বিদায়ী সংবর্ধনা-২০২৫" অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানাই। বিশেষভাবে ধন্যবাদ দিতে চাই বরুড়ার মাটি ও মানুষের নেতা, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সম্মানিত আহবায়ক, সাবেক সংসদ সদস্য জনাব জাকারিয়া তাহের সুমন ভাইকে। যিনি অত্যন্ত ব্যস্ততার পরেও উপস্থিত হয়ে অনুষ্ঠানকে অলংকৃত করেছেন। উনার আন্তরিক সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য এই সংগঠনকে আরো উজ্জীবিত করবে বলে বিশ্বাস করি।"

তিনি আরও বলেন , 'বরুড়া ছাত্র-ছাত্রী পরিষদ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম একটি আঞ্চলিক সংগঠন। সংগঠনের উত্তরোত্তর সফলতা কামনায় আমি সাবেক, বর্তমান এবং ভবিষ্যতে যারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে সবার কাছে আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি। আমরা এই সংগঠনের মাধ্যমে সুখে দুঃখে একে অপরের পাশে দাড়াতে পারলেই আমাদের স্বার্থকতা এবং আনন্দ।'

উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম থেকে ১২তম আবর্তনের বিভিন্ন শিক্ষার্থীকে বিদায় দেওয়া হয় এবং ১৭ ও ১৮ তম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়। 



 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ